হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ সাঈদী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ব্ল্যাকমেইলের নীতি অনুসরণ করেছে এবং ইরানকে তার সাংস্কৃতিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও আদর্শিক সীমানা থেকে পিছু হটতে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু ইরানের জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লব ও ত্যাগ স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, ইরানি জাতি হযরত ফাতিমা যাহরা (আ.)-এর মাযহাবের অনুসারী এবং নারীরা সতীত্ব, হিজাব ও অবিচলতার মাধ্যমে এ পথ অব্যাহত রাখবে।
খুতবার ধারাবাহিকতায় তিনি যোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞান উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে থাকতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলোর ঘাঁটি নয়। শত্রুরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক বিবাদে জড়িয়ে তাদের প্রকৃত দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়।
আয়াতুল্লাহ সাঈদী আইয়ামে ফাতিমিকে দৃঢ়তা ও অটলতার ধারণার বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, আদর্শ ও নীতির প্রতি আনুগত্য ও অটলতা হল ইসলামী ব্যবস্থার শক্তির ভিত্তি।
তিনি পবিত্র কোরআনের আলোকে জারার মসজিদের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধর্মের নামে ভন্ডরা ভন্ডামী করে, শত্রুদের প্রতারণা এড়াতে মুসলমানদের উচিত অন্তর্দৃষ্টি ও সতর্কতা প্রদর্শন করা।
কোম শহরের জুমার নামাজের ইমাম আমেরিকার অহংকার ও ভন্ডামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংগ্রামের ওপর জোর দিয়ে ইরানের জনগণের দৃঢ়তা, ইসলামী শিক্ষার প্রতি আনুগত্য এবং শত্রুর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্কতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আপনার কমেন্ট